সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন

ওকাসিয়ো কর্তেজ

স্বদেশ ডেস্ক: দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে গুয়াতেমালা থেকে প্রাণ বাঁচাতে এসেছিলেন আমেরিকায়। গত বছর মার্কিন অভিবাসন দফতর সেই মা, ইয়াসমিন জুয়ারেজকে আটকে দেয়। তারপরের গল্পটা শুধু হারানোর। যা শুনে চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি মার্কিন কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কর্তেজ।

মার্কিন কংগ্রেসের সামনে এক শুনানিতে গুয়াতেমালার শরণার্থী ইয়াসমিন জানিয়েছেন, বছর পেরিয়েছে। কিন্ত তার মেয়েটা আর তার কাছে নেই। মেক্সিকো সীমান্তের ডিটেনশন সেন্টারে ২০ দিন আটক থাকার পরে ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ হয়েছিল শিশুটির। রোগে ভুগে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যায় সে। ইয়াসমিনের কথা শুনে শুধু আলেকজান্দ্রিয়া নন, আরও কয়েক জন এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে সান্ত¦না দিয়েছেন মেয়ে-হারা মাকে। মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে মেয়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি সামনে রেখে সাক্ষ্য দিয়েছেন ইয়াসমিন।

জানিয়েছেন, প্রাণ বাঁচাতে গুয়াতেমালা ছেড়ে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে মেয়ে মারিকে নিয়ে আমেরিকায় এসেছিলেন তিনি। আশ্রয় চাইলেও তাদের ভয়ানক একটি ঠান্ডা খাঁচায় বেশ কিছুদিন আটকে রাখা হয়। তারপরে পাঠানো হয় আইসিই ডিটেনশন সেন্টারে। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়ে মারি। ইয়াসমিনের কথায়, আমি চিকিৎসকদের কাছে বারবার অনুরোধ করেছি, আমার মেয়েটাকে একটু দেখুন। তারা দেখেননি। আইসিই থেকে ছাডার পরে আমি মারিকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে ছুটেছিলাম। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। মারি আর হাসপাতাল থেকে ফেরেনি।

এরপরে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ইয়াসমিন বলেন, আটক শিশুদের রক্ষা করা আমেরিকার মতো একটা দেশের পক্ষে এত কঠিন কাজ গোটা বিশ্বের জানা উচিত এ সব কিছু। আমেরিকায় শরণার্থীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয়, তা জানতে হাউসের ‘ওভারসাইট এবং রিফর্ম’ কমিটি সাক্ষ্য নিয়েছে ইয়াসমিনের মতো অনেকের। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার দফতরের প্রধান বলেছেন, আমেরিকায় ডিটেনশন সেন্টারে যে ভাবে শণার্থীদের রাখা হচ্ছে, তা দেখে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের পর্যবেক্ষক সংস্থা গত সপ্তাহে একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, বিভিন্ন কেন্দ্রে শরণার্থীদের ভিড উপচে পড়ছে। মধ্য আমেরিকার হিংসা, দারিদ্র থেকে বাঁচতে গিয়ে এই শরণার্থীরা সীমান্ত পেরিয়ে এসে ‘ভয়ঙ্কর’ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877